সুস্থ থাকতে করণীয় :


সুস্থ থাকতে করণীয় :



 শরীরটাকে সবসময় সুস্থ-ঝরঝরে রাখতে চায়। সুস্থ দেহ মানেই সুখী জীবন। আর সবার চাওয়াটা তো এমন-ই। তারপরও কয়জন আমরা থাকতে পারি মনের মত সুস্থ, কর্মঠ?
শরীরটাকে সুস্থ-ঝরঝরে রাখতে মেনে চলুন কিছু নিয়ম-
১,,প্রচুর পরিমাণ পানি পান করুন।
সকালে ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস পানি পান করুন। এতে শরীর থেকে দূষিত উপাদান বের হয়ে যাবে। সেই সঙ্গে ডিহাইড্রেশনও হবে না। সারা দিনে অন্তত দেড় থেকে দুই লিটার পানি পান করুন।
২,,খাবার হোক নিয়ম মেনে।
নিয়ম মেনে প্রতিদিন একই সময় সকাল, দুপুর এবং রাতের খাবার খান। পাশাপাশি মনে রাখবেন, রাত ১০টার পর রাতের খাবার খাওয়া একদমই ঠিক নয়। শরীর ঠিক রাখতে রোজ একই নিয়ম মেনে চলুন।
খাবারের সঙ্গে একটু ঘি খান
প্রতিদিন সামান্য পরিমাণ ঘি খান। শুনলে অবাক হবেন, রোজ খাবারের সঙ্গে একটু ঘি খেলে বাড়তি ওজন কমে।
৩,,এড়িয়ে চলুন কার্বোহাইড্রেট।
ডিনারে কার্বোহাইড্রেট এড়িয়ে চলুন। দেহে শক্তির যোগান দেয় কার্বোহাইড্রেট। যেহেতু ঘুমের আগে বেশি এনার্জির প্রয়োজন নেই, সেহেতু ডিনারে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার, যেমন- আলু, ভাত বা পাস্তা খাবেন না।
৪,,লাঞ্চ-ডিনারে ফল পরিহার করুন।
লাঞ্চ-ডিনারের সঙ্গে ফল খাবেন না। ব্রেকফাস্টের সঙ্গে এক-আধটা ফল চলতে পারে। কিন্তু, লাঞ্চ বা ডিনারের সঙ্গে ফল খেলে তা দেহে সুগারের মাত্রা বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে ক্যালোরির পরিমাণও বেড়ে যায়। তা ছাড়া, ফল খেলে অনেকের অ্যাসিডিটি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
৫,,কম তেলে সুস্থ থাকা :
রান্নায় তেল ব্যবহারে সতর্ক হোন। সবসময় সঠিক তেলে রান্না করুন। অনেকেই ওজন কমাতে অলিভ অয়েলকেই সেরা মনে করেন। ডায়েটিশিয়ানদের মতে, সর্ষে বা নারকেল তেলও কিন্তু কম গুণের নয়। তবে পাম অয়েল এড়িয়ে চলুন। এতে ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, যা স্যাচুরেটেড ফ্যাট বাড়িয়ে দেয়।
৬,,ঘুম হোক পর্যাপ্ত :
পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমান। দিনে অন্তত সাড়ে ছ’ঘণ্টা থেকে আট ঘণ্টা ঘুমান। বেশি ঘুমানোও যেমন ক্ষতিকর, কম ঘুমালেও সমান অসুবিধা হয়। পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমের ফলে দেহের কার্যক্রম ঠিক থাকে। বেশি খিদেও পায় না।

কালোজিরা, মধু,খেজুর ইত্যাদির অনেক গুণাগুণ রয়েছে। তাই সুস্থ থাকতে এগুলো খান। আর post সম্পর্কে মতামত জানান।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

একজন মধ্যবৃত্ত পরিবারের বাবার গল্প।

Mojar Sms ( মজার এস.এম.এস)

Friends Forever